বেড়ায় অবাধে বক শিকার
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
শীত এলেই পাবনার বেড়া উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে পাখি শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পাখি শিকারিরা। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে বেড়া উপজেলায় অবাধে চলছে বক শিকার ও বিক্রি। শিকারিদের লাগামহীন এই কার্যক্রমের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় জীববৈচিত্র্যও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
শিকারিরা চরাঞ্চল ও আশপাশের জলাভূমিতে জাল, ফাঁদ ও অন্যান্য কৌশল ব্যবহার করে রাতের আঁধারে বক শিকার করছে। শিকার করা বকগুলো বেড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বা গোপনে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছেন। অনেকে এসব বক রেস্তোরাঁ ও হোটেলে সরবরাহ করছে, যেখানে এগুলো জনপ্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে।
বেড়া বাজারে বক বিক্রি করতে আসা মো. আলমগীর ও মিন্টু মিয়া বলেন, আমরা চরাঞ্চল থেকে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা জোড়া বক কিনে এনে তা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা জোড়া বিক্রি করে থাকি। তবে আমরা নিজেরা কোন বক শিকার করিনা। শুধু চরাঞ্চল থেকে বক কিনে এনে তা বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার খরচ নির্বাহ করে থাকি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেড়া বাজারে এক ব্যবসায়ী জানান, শীত এলেই শিকারিরা এই ধরণের কাজকর্ম চালিয়ে থাকে। কিন্তু এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বক শিকারিরা অবাধে বক শিকার করে তা হাট-বাজারে বিক্রি করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
বক শুধু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাই করে না, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণসহ জলজ বাস্তুতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বক শিকার বন্ধ না হওয়ার কারণে এসব প্রাণী এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। শিকারিরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে খোলা বাজারে বিক্রিতে কোন রকমের বাধা বিপত্তি না থাকায় দিনকে দিন উৎসাহিত হয়ে উঠছেন।
বক শিকার ও বিক্রির পাশাপাশি বেড়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে জলাভূমি দখল এবং নির্বিচারে গাছপালা কাটা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ নদী ও খালের দখল, পলিথিন দূষণ এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অনেকেই মনে করেন, বক শিকার বন্ধের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তা না হলে এ উপজেলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য দীর্ঘমেয়াদে আরও সংকটের মুখে পড়বে।
রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বন্যপ্রাণী নিধন দ-নীয় অপরাধ। বেড়া উপজেলায় বক শিকারের কথা আমার জানা নেই। তবে সঠিক তথ্য পেলে বক বা যে কোন ধরণের বন্যাপ্রাণী শিকারকারীদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রদানকারীদেরকে আর্থিকভাবে পুরুস্কৃত করে থাকি।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক